হে আকাশ হে অরণ্য
তোমাদের মাঝখানে কতবার কত না প্রাচীর
বেঁধেছে হৃদয়;
তবু বারবার সমুদ্রের তীর
সহসা তরঙ্গ হানে
ছুঁয়ে যায় আকাশের কোণ,
আবার সে পুরনো স্বপন
ভাঙে সে প্রাচীর আর জাগায় বিস্ময়,
আবার সমুদ্রতীরে সেই ঝড় বয়।
সেই ঝড় দোলা দেয় অশোকের বনে!
সেই ঝড় ঝড় আনে গগন-গহনে!
সেই সব রাত আর সেই সব তারারা আবার
হাজার হাজার যুগ হ’য়ে যায় পার,
সেই সব পরীদের চোখ
আবার উজ্জ্বল হয়,
ঝরোকায় নতুন আলোক।
বিবসনা শা’জাদী ঘুমায়-
মনের কিনার ঘিরে সেইসব ঘোড়াদের পায়
পাহাড়ের তট ভাঙে
আর ভাঙে হৃদয়ের তীর,
আবার উধাও পাখা সেই সব পুরনো পাখির।
তারপর হে আকাশ হে অরণ্য
আবার বিরোধ,
আবার সীমান্ত ঘিরে সেই প্রতিরোধ
অরণ্যে আকাশে,
সমুদ্রের কালো জলে দিনগুলি ফেনা হ’য়ে ভাসে।
ভেসে যায় অরণ্য-কিনার।
খসে পড়ে সেই গ্রন্থি
ধ’সে পড়ে মনের মিনার।
তার চেয়ে হে আকাশ হে অরণ্য
সেইসব দিনের ছায়ারা
সেইসব মমীদের মলিন কায়ারা
এখানে ঘুমাক।
আমার হৃদয় থেকে সেইসব দিন মুছে যাক।
এখানে নামুক দিন
পাখা নেই যেসব দিনের,
এখানে নামুক রাত
যে রাতের ছায়াতলে স্বপ্ন নেই নীল কপোতের।
এখানে নামুক ছায়া
যে ছায়ারা ঘর বেঁধে রয়,
এখানে নামুক ছায়া
যে ছায়ারা কায়াহীন নয়।